০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সরকার প্রধান

মোদি-ইউনূস বৈঠক না হওয়ার ব্যাখ্যায় দিল্লি

শিবলী চৌধুরী কায়েস
  • আপডেট সময় : ০৯:৪০:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৮ বার পঠিত

আমেরিকা: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯ তম সম্মেলনে যোগ দিতে এরই মধ্যে দেশ ছেড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। এই অধিবেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সঙ্গে একটি বৈঠক করতে চেয়েছিলেন ড. ইউনূস। কিন্তু এই বিষয়ে সাড়া দেয়নি ভারত।

তবে বৈঠকটি কী কারণে হলো না— তার ব্যাখ্যা দিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুই নেতার বৈঠক না হওয়ার প্রধান কারণ সফরসূচিতে গরমিল এবং সময়ের অভাব।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনকে ঘিরে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গত বেশ কয়েক দিন ধরে জল্পনা চলছিল যে অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠক হতে পারে। তবে গত ১৯ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়, নিউইয়র্কে মোদি এবং ইউনূসের মধ্যে কোনো বৈঠক হবে না।

নয়াদিল্লির এই ঘোষণার পর পরই সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে চাউর হয়ে যায় যে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার কারণে ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে চাইছেন না মোদি।

তবে সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নাকচ করে দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।

নিউইয়র্ক সফর শেষ করে আজ মঙ্গলবার ভোরের দিকে নয়াদিল্লির বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে মোদিকে বহনকারী উড়োজাহাজটি। আগের দিন সোমবার তাকে বহনকারী উড়োজাহাটটি নিউইয়র্কের বিমানবন্দর ত্যাগের কিছুক্ষণ পর নয়াদিল্লিতে এক ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আপনারা জানেন, এবার আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুবই সংক্ষিপ্ত সফরে নিউইয়র্কে গিয়েছিলেন। তার সফরের মেয়াদ ছিল মাত্র ৫৫ ঘণ্টা এবং কয়েক মিনিট আগে তিনি নিউইয়র্ক থেকে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

অন্যদিকে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এখনও নিউইয়র্কে গিয়ে পৌঁছাননি। যেহেতু উভয়ের ভ্রমণ শিডিউল ভিন্ন ছিল, তাই এবার তাদের মধ্যে বৈঠকের কোনো সুযোগ ছিল না।

তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল নরেন্দ্র মোদির। কিন্তু সংক্ষিপ্ত শিডিউল এবং ব্যস্ততার কারণে সেই বৈঠকও বাতিল হয়েছে।

তবে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাংলাদেশ সরকার প্রধানের সাথে বৈঠক ঘিরে ছলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ভারতের তরফে এ নিয়ে কোন মন্তব্য করা হয় নি।

তবে, তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানিয়েছেন এক বিশ্লেষক। যদিও, বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব পাওয়া মুহম্মদ ইউনূেসর সাথে পশ্চিমা বিশ্ব নেতাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। যা এখন ঢাকা ওয়াশিংটন সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

ট্যাগ :

Please Share This Post in Your Social Media

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সরকার প্রধান

মোদি-ইউনূস বৈঠক না হওয়ার ব্যাখ্যায় দিল্লি

আপডেট সময় : ০৯:৪০:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আমেরিকা: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯ তম সম্মেলনে যোগ দিতে এরই মধ্যে দেশ ছেড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। এই অধিবেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সঙ্গে একটি বৈঠক করতে চেয়েছিলেন ড. ইউনূস। কিন্তু এই বিষয়ে সাড়া দেয়নি ভারত।

তবে বৈঠকটি কী কারণে হলো না— তার ব্যাখ্যা দিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুই নেতার বৈঠক না হওয়ার প্রধান কারণ সফরসূচিতে গরমিল এবং সময়ের অভাব।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনকে ঘিরে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গত বেশ কয়েক দিন ধরে জল্পনা চলছিল যে অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠক হতে পারে। তবে গত ১৯ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়, নিউইয়র্কে মোদি এবং ইউনূসের মধ্যে কোনো বৈঠক হবে না।

নয়াদিল্লির এই ঘোষণার পর পরই সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে চাউর হয়ে যায় যে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার কারণে ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে চাইছেন না মোদি।

তবে সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নাকচ করে দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।

নিউইয়র্ক সফর শেষ করে আজ মঙ্গলবার ভোরের দিকে নয়াদিল্লির বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে মোদিকে বহনকারী উড়োজাহাজটি। আগের দিন সোমবার তাকে বহনকারী উড়োজাহাটটি নিউইয়র্কের বিমানবন্দর ত্যাগের কিছুক্ষণ পর নয়াদিল্লিতে এক ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আপনারা জানেন, এবার আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুবই সংক্ষিপ্ত সফরে নিউইয়র্কে গিয়েছিলেন। তার সফরের মেয়াদ ছিল মাত্র ৫৫ ঘণ্টা এবং কয়েক মিনিট আগে তিনি নিউইয়র্ক থেকে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

অন্যদিকে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এখনও নিউইয়র্কে গিয়ে পৌঁছাননি। যেহেতু উভয়ের ভ্রমণ শিডিউল ভিন্ন ছিল, তাই এবার তাদের মধ্যে বৈঠকের কোনো সুযোগ ছিল না।

তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল নরেন্দ্র মোদির। কিন্তু সংক্ষিপ্ত শিডিউল এবং ব্যস্ততার কারণে সেই বৈঠকও বাতিল হয়েছে।

তবে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাংলাদেশ সরকার প্রধানের সাথে বৈঠক ঘিরে ছলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ভারতের তরফে এ নিয়ে কোন মন্তব্য করা হয় নি।

তবে, তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানিয়েছেন এক বিশ্লেষক। যদিও, বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব পাওয়া মুহম্মদ ইউনূেসর সাথে পশ্চিমা বিশ্ব নেতাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। যা এখন ঢাকা ওয়াশিংটন সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।