০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
যা বললেন তাবিথ আউয়াল

বাফুফে নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রভাব!

রিপোর্টার:
  • আপডেট সময় : ০১:০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১১ বার পঠিত

বাংলাদেশ-স্পোর্টস: আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। এবার নির্বাচনের অংশগ্রহণ না করার কথা আগেই জানিয়েছেন বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এরপরই সভাপতি নির্বাচন করার ঘোষণা দেন তরফদার রুহুল আমিন।

এবার নির্বাচনে তার সঙ্গে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন বাফুফের সাবেক সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়াল।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে আসন্ন বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

তবে এখনও পর্যন্ত বাফুফের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা দুই ব্যক্তিই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দলটির সমর্থকরাও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুজনকে সমর্থন জানাচ্ছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন চলে আসে বাফুফে নির্বাচনে রাজনৈতিক পরিচয় কতটা প্রভাব ফেলতে পারে?

এদিন এই প্রশ্ন ছুটে যায় তাবিথ আউয়ালের কাছেও। জবাবে তিনি বলেন, আমি চাইব এই নির্বাচনের জন্য যারা নিজেদের যোগ্য মনে করেন, তারা সবাই যেন অংশগ্রহণ করেন। এতে নির্বাচনটা ভালো হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে আমি জিতলে আমার ভালো লাগবে। আমার কাছে মনে হবে ক্রীড়াঙ্গনের সকলের সাপোর্ট আছে আমার সঙ্গে। কিন্তু দুই একজনের মধ্যে লড়াই করে জিতলে, এই জিনিসটা মনে হয় না।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমার পরিচয় একটা না। আমি একজন ব্যবসায়ীও। আপনারা বলতে পারেন ব্যবসা আর ক্রীড়াঙ্গনকে কিভাবে এক করবেন। আমি কখনই এটা করব না। আপনারা জানেন আমার একটি রাজনৈতিক পরিচয়ও আছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ন্যাশনাল কমিটিতে আছি দীর্ঘ দিন ধরে।

এ দলের থেকে নমিনেশন নিয়ে আমি দুইবার (২০১৫ এবং ২০২০) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন করেছি। সেই সঙ্গে ২০১২ সাল থেকে আমি বাফুফের সঙ্গেও ছিলাম। কিন্তু আমার মনে হয় না, বিগত দিনগুলোতে কখনও আমার রাজনীতি এবং ক্রীড়াঙ্গন এক করেছি। ভবিষ্যৎতেও এটি অব্যাহত থাকবে।

বিএনপির ক্রীড়ানীতি নিয়ে এই সংগঠক বলেন, আমি যে দলের সঙ্গে রয়েছি, তাদের বেশকিছু ক্রীড়ানীতি রয়েছে। তারাও দেশের ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করেছে। সঠিক সময় আসলে সেগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরবে। আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করতে চাই। আমার মনে হয় না রাজনীতি কোনোভাবে প্রভাবিত করবে।

বিএনপির সমর্থকদের দুই ভাগে বিভক্ত হওয়া নিয়ে তাবিথ বলেন, আমি টিভিতে দেখেছি, আপনারা যেটা বললেন, যে দলের কর্মীরা অন্য কাউকে সমর্থন দিচ্ছে। আমরা তো এটাই চাই। আমি মনে করি দল বা ধর্ম ভেদে নয়, বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য যে যোগ্য ব্যক্তি তাকেই সমর্থন দেবেন। আর যে ব্যক্তির কথা বলছেন, আমিনুল হক সাহেব তাকেও যদি আমার মতো একটি দলের লোক হিসেবে চিহ্নিত করেন সেটাও ভালো দেখা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে নির্বাচন করছি না। আমার যখন ১২ বছর বয়স ধানমন্ডি ক্লাবে খেলতাম, এরপর থেকেই ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে জড়িত রয়েছি। তাই ক্রীড়াঙ্গনের মানুষ হিসেবেই আমাকে বিবেচনা করবেন।

সভাপতি পদে এবারই প্রথম লড়তে যাচ্ছেন তাবিথ। এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে লড়ে বাফুফের সহ-সভাপতি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সবশেষ ২০২০ সালের নির্বাচনে হেরে যান এই সংগঠক।

ট্যাগ :

Please Share This Post in Your Social Media

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

যা বললেন তাবিথ আউয়াল

বাফুফে নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রভাব!

আপডেট সময় : ০১:০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ-স্পোর্টস: আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। এবার নির্বাচনের অংশগ্রহণ না করার কথা আগেই জানিয়েছেন বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এরপরই সভাপতি নির্বাচন করার ঘোষণা দেন তরফদার রুহুল আমিন।

এবার নির্বাচনে তার সঙ্গে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন বাফুফের সাবেক সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়াল।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে আসন্ন বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

তবে এখনও পর্যন্ত বাফুফের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা দুই ব্যক্তিই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দলটির সমর্থকরাও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুজনকে সমর্থন জানাচ্ছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন চলে আসে বাফুফে নির্বাচনে রাজনৈতিক পরিচয় কতটা প্রভাব ফেলতে পারে?

এদিন এই প্রশ্ন ছুটে যায় তাবিথ আউয়ালের কাছেও। জবাবে তিনি বলেন, আমি চাইব এই নির্বাচনের জন্য যারা নিজেদের যোগ্য মনে করেন, তারা সবাই যেন অংশগ্রহণ করেন। এতে নির্বাচনটা ভালো হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে আমি জিতলে আমার ভালো লাগবে। আমার কাছে মনে হবে ক্রীড়াঙ্গনের সকলের সাপোর্ট আছে আমার সঙ্গে। কিন্তু দুই একজনের মধ্যে লড়াই করে জিতলে, এই জিনিসটা মনে হয় না।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমার পরিচয় একটা না। আমি একজন ব্যবসায়ীও। আপনারা বলতে পারেন ব্যবসা আর ক্রীড়াঙ্গনকে কিভাবে এক করবেন। আমি কখনই এটা করব না। আপনারা জানেন আমার একটি রাজনৈতিক পরিচয়ও আছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ন্যাশনাল কমিটিতে আছি দীর্ঘ দিন ধরে।

এ দলের থেকে নমিনেশন নিয়ে আমি দুইবার (২০১৫ এবং ২০২০) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন করেছি। সেই সঙ্গে ২০১২ সাল থেকে আমি বাফুফের সঙ্গেও ছিলাম। কিন্তু আমার মনে হয় না, বিগত দিনগুলোতে কখনও আমার রাজনীতি এবং ক্রীড়াঙ্গন এক করেছি। ভবিষ্যৎতেও এটি অব্যাহত থাকবে।

বিএনপির ক্রীড়ানীতি নিয়ে এই সংগঠক বলেন, আমি যে দলের সঙ্গে রয়েছি, তাদের বেশকিছু ক্রীড়ানীতি রয়েছে। তারাও দেশের ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করেছে। সঠিক সময় আসলে সেগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরবে। আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করতে চাই। আমার মনে হয় না রাজনীতি কোনোভাবে প্রভাবিত করবে।

বিএনপির সমর্থকদের দুই ভাগে বিভক্ত হওয়া নিয়ে তাবিথ বলেন, আমি টিভিতে দেখেছি, আপনারা যেটা বললেন, যে দলের কর্মীরা অন্য কাউকে সমর্থন দিচ্ছে। আমরা তো এটাই চাই। আমি মনে করি দল বা ধর্ম ভেদে নয়, বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য যে যোগ্য ব্যক্তি তাকেই সমর্থন দেবেন। আর যে ব্যক্তির কথা বলছেন, আমিনুল হক সাহেব তাকেও যদি আমার মতো একটি দলের লোক হিসেবে চিহ্নিত করেন সেটাও ভালো দেখা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে নির্বাচন করছি না। আমার যখন ১২ বছর বয়স ধানমন্ডি ক্লাবে খেলতাম, এরপর থেকেই ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে জড়িত রয়েছি। তাই ক্রীড়াঙ্গনের মানুষ হিসেবেই আমাকে বিবেচনা করবেন।

সভাপতি পদে এবারই প্রথম লড়তে যাচ্ছেন তাবিথ। এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে লড়ে বাফুফের সহ-সভাপতি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সবশেষ ২০২০ সালের নির্বাচনে হেরে যান এই সংগঠক।