এনবিআর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইসির তথ্য
বসুন্ধরার সোবহান-আনভীরসহ কারোরই ব্যক্তিগত গাড়ি নেই?
- আপডেট সময় : ০১:২৭:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১২ বার পঠিত
বাংলাদেশ: আয়কর নথিতে দেড় হাজার কোটি টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরার ৫ মালিক। তাদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী বসুন্ধরার প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ আকবর সোবহানের বড় ছেলে সাদাত সোবহান। আর ঋণ বেশি সায়েম সোবহান আনভীরের। তাদের কারোই ব্যক্তিগত গাড়ি নেই। এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইসির প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
যদিও এমন তথ্য প্রকাশে বিস্মিত দেশের সাধারণ মানুষ। অথচ বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকরা যে সকল গাড়ি তাদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছে তা কম্পানীর হিসেবে দেখাচ্ছেন। কেবল আনভীরের বিলাসবহুল গাড়ির সংখ্যা ২০ ছাড়িয়ে।
দেশের অন্যতম বড় শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা। আবাসন, ভোগ্যপণ্য, জ্বালানিসহ নানা খাতে বিনিয়োগ বিস্তৃত করেছে পারিবারিক মালিকানাধীন গ্রুপটি। যেখানে কাজ করছেন হাজারো কর্মী। তবে, নানা অনিয়ম ধামাচাপা দিতে শেখ হাসিনা সরকারের লেজুড়বৃত্তির অভিযোগ আছে বসুন্ধরার প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ আকবর সোবহানের বিরুদ্ধে।
হাসিনা সরকারের পতনের পর বসুন্ধরা মালিকদের সম্পদের তদন্তে নেমেছে পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের সিআইসি। আহমেদ আকবর সোবহান ও তার ৪ ছেলের আয়কর নথি পর্যালোচনা করেছেন গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দারা জানান, বাবা ও ৪ ছেলের মধ্যে সবচেয়ে ধনী সাদাত সোবহান। সম্পদের পরিমাণ পৌনে সাতশ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে সাফওয়ান সোবহান। তৃতীয় বাবা আকবর সোবহান। সম্পদে চতুর্থ আনভীর সোবহান ও পঞ্চম সাফিয়াত সোবহান।
পাঁচ জনের মধ্যে সবচেয়ে ঋণগ্রস্ত সায়েম সোবহান আনভীর। ঋণ ৩৮২ কোটি টাকা। সাদাত সোবহানের ঋণ নেই। বাকি তিন জনের ঋণ প্রায় দেড়শ কোটি টাকা।
সংসার চালাতে বছরে তাদের ব্যয় ২৩ কোটি টাকা। খরচে এগিয়ে সাফিয়াত ও সাফওয়ান। দুজনের ব্যয় ১৫ কোটি টাকার বেশি। সংসার খরচে সবচেয়ে পিছিয়ে বাবা আহমেদ আকবর সোবহান। বসুন্ধরা মালিকদের বিলাসবহুল গাড়ির ছবি প্রায়ই ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। তবে, এগুলোর সবই কোম্পানির নামে।
এ ব্যাপারে সাবেক কর কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যে রিমুনারেশন কোম্পানি থেকে পায়, তার পরিমাণ ধরেন মাসে ৫০ লাখ টাকা। কিন্তু ফাইলে দেখা গেল দেখাচ্ছে ১০ লাখ টাকা বা ৫ লাখ টাকা। তারা আসলে বিগ ফিস। তাদের ইনকাম ট্যাক্সের ফাইলে কোনোকিছু করার সাহস কিংবা সুযোগ কোনোকিছু করার স্কোপও ছিল না।’
আয়কর নথিতে সাদাত ছাড়া সবাই বিপুল পরিমাণে জমি দেখিয়েছেন। এসব জমির দাম ধরা হয়েছে প্রায় পৌনে তিনশ কোটি টাকা।